বেলতলা খেয়াঘাটে ফের মুসল্লিদের কাছ থেকে চাঁদাবাজী!
ফেব্রুয়ারি ২৪ ২০২১, ১৮:১০

রিপন রানা: চরমোনাই’র মাহফিল উপলক্ষে বরিশাল নগরীর কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত বেলতলা খেয়াঘাটে মুসল্লিদের কাছ থেকে নদী পাড়াপাড়ের নামে চলছে চাঁদাবাজি।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, সোহরাব হোসেন মাঝি, ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুর অটো শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি রাজা, চরমোনাই ইউনিয়নের মেম্বার পদ প্রাথী কবির সহ ১০-১২ জনের একটি চক্র এই চাঁদাবাজির সাথে জড়িত রয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ বুধবার দুপুরে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় দূরপাল্লার থেকে আসা মুসল্লিরা নদী পারাপারের জন্য ঘাটে আসলে তাদের কাছ থেকে ট্রলার প্রতি ২০০ শ‘ থেকে ৪০০ টাকা করে দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন মুসল্লিরা।
তবে স্থানীয়দের দাবি প্রশাসনের চোখের সামনে প্রকাশ্যে চালাচ্ছেন চাঁদাবাজি। নীরব ভূমিকায় প্রশাসন স্থানীয় কাউনিয়া থানা ও বরিশাল সদর থানা দায়িত্বরত ডিউটি অফিসার্স। অন্যদিকে স্থানীয় প্রভাবশালী ও ৫ নং ওয়ার্ড পলাশপুর অটোরিক্সার শ্রমিক সভাপতি রাজা হোসেনের নেতৃত্বে কিছু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কর্মীরা চাঁদা উত্তোলন করছেন। এদিকে গীলাতলি অটো আলফা শ্রমিকরা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়।
জানতে চাইলে তারা বলেন বেলতলা খেয়াঘাটের ভাড়া রেখে অন্য ট্রলার যোগে মুসল্লিদের চরমোনাই মাঠে পাঠানো হয়। প্রতি বছরের নেয় এ বছরে শুরু হয়েছে চরমোনাই মাহফিল। আর এই মাহফিলের উদ্দেশ্য প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র নির্ধারিত সময়ে মধ্যে চরমোনাই পৌঁছানোর জন্য চলাচল করেন।
স্থানীয় প্রভাবশালী ও ঘাট ইজারা অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে অন্য পথে খেয়াপার পার করান বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আজিমুল করিম বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেউ এরকমের চাঁদাবাজি বা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। বরিশাল সদর নৌ থানার ডিউটি অফিসার্স এসআই অলক বলেন বিষয়টি আমাদের চোখে পড়েনি। তবে এরকম কেউ চাঁদা উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।